শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৩১ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে মারধরের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। রবিবার (সেপ্টেম্বর) দিবাগত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের টিভি রুমে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ বর্ষের আহসান উল্লাহ অলি। তিনি লালন শাহ হলের ২৩২নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
জানা যায়, রবিবার গণরুম প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় হল প্রশাসন। এ বিষয়ে রাত দশটায় লালন শাহ হলের হলের শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন অলি। সেখানে হাসানুল বান্না উপস্থিত হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে অলি গণরুমের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ও আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এতে তার উপর ক্ষুব্ধ হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করে তাকে হল ছাড়া করেন। এই নিয়ে গতকাল রাত ১টা পর্যন্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অলি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তিনি হলে থাকছেন। কিন্তু আন্দোলনের পর থেকেই সমন্বয়কদের বিষয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।
ভুক্তভোগী আহসান উল্লাহ অলি বলেন, হল প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমরা হলের শিক্ষার্থীরা সবাই আলোচনায় বসি। সেখানে আমি বাহির থেকে না উঠিয়ে গণরুম থেকে সিটে উঠানোর জন্য বলি। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে হলের সিট বন্টন না করে গণরুমে যারা থাকবে তাদের থেকে উঠাতে বলি। কিন্তু জানতে পারি হলের গণরুম থেকে না উঠিয়ে বাইর থেকে কিছু ছাত্রকে বান্না হলে উঠিয়েছে। এনিয়ে আমি প্রশ্ন করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। আমি এসময় একটু রাগান্বিত হয়ে বলি যে বান্না নিজেও একসময় ছাত্রলীগের সাফাই গাইতো। সে এখন কিভাবে হলে সিট দেয়। এনিয়ে তারা আমাকে উল্টো আন্দোলন করি নাই, আমি ছাত্রলীগের সাথে ছিলাম এমন অভিযোগ দেয়। এসময় তারা আমাকে টিভি রুমে আটকে রেখে হেনস্তা করে। পরে আমাকে তারা হল থেকে দৌঁড়ানি দেয়। ইট পাটকেল ও মারধর করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।'
হাসানুল বান্না বলেন, আমরা হলের সকল শিক্ষার্থীরা যখন আলোচনায় বসি সেখানে অলি বলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ২ থেকে ৫ আগস্ট হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনোদিন আন্দোলনই হয়নি। সে নাকি প্রথম থেকে এ আন্দোলনের সাথে ছিলো। এসময় আরো কিছু শিক্ষার্থী একসময় যারা ছাত্রলীগ করতো তারা তাকে সমর্থন দেয়। এসব শুনে কারফিউর মধ্যেও আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। পরে সে পরিস্থিতি বুঝে দৌঁড়িয়ে পালায়।'
বিজ্ঞাপন