রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:০৩ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লকে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার শঙ্কায় টিচার্স কোয়ার্টার ‘কপোতাক্ষ’তে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভবনে পুরাতন ব্লকের ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপে স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, ৭ ও ৮ জুলাই এবং ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর হলের পুরাতন ব্লকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সাথে সাক্ষাৎ করেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা। এসময় হলের সমস্যা নিরসনে ৪ দফা দাবি তোলেন তারা।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এরশাদুল হক বলেন, আমরা এখানে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা করেছি। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক আনসার ও আয়া নিয়োজিত থাকবে। তাদের খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের ডাইনিং থেকে তাদের জন্য প্রতি বেলায় খাবার এখানে নিয়ে আসা হবে। আশাকরি তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। এর পরেও যদি তারা নিরাপত্তা সংকট মনে করে, তাহলে সমন্বয়ক প্যানেল এবং আমরা মিলে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অবস্থানের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। মোটামুটি সব রুমের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে সব মিলিয়ে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর হলের পুরাতন ব্লক সংস্কারের জন্য প্রাথমিক একটা হিসাব ৪৮ লক্ষের মতো লাগতে পারে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, হলের বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে কপোতাক্ষ ভবন সংস্কার করে এখানে নিয়ে এসেছি। এখানে সার্বক্ষণিক আনসার, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া অবস্থান করবেন। আমরা হলের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করি পরিস্থিতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হলের পুরাতন ব্লকে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে হলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে হলে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বলে ছাত্রীদের অন্য স্থানে থাকতে বলে কর্তৃপক্ষ। তবে থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঝুঁকি নিয়েই হলে অবস্থান করে ছাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন