রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫০ ৩১ আগস্ট ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মোল্লা রাজিব আহমেদ। ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ৯ পেয়েও তৎকালীন ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মাহফুজুল হায়দার রোটনের ফোনে ভর্তি হয়ে যান জাবিতে। ইতিমধ্যে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট নিয়েও বের হয়ে গেছেন তিনি। অথচ তার ভর্তিই ছিল অবৈধ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজিবের বোনের স্বামী আবু মুছা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় জাবির ভিসি ছিলেন গোপালগঞ্জের ড. শরিফ এনামুল করিব। রাজিবকে ভর্তি করানোর জন্য রোটন ফোন করেন শরিফ এনামুল কবিরকে। ফলে তার ভর্তি পরীক্ষার কোনো তথ্য আমলে না নিয়েই নিজের ক্ষমতা বলে রাজিবকে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেন শরিফ এনামুল করিব।
জাবির পরীক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করে জানান, রাজিব ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ৯ পায়। তাকে ভর্তি করানোর জন্য শরিফ এনামুল স্যার পরীক্ষা অফিসে ফোন করেন। তখন কাগজপত্র দেখে মাত্র ৯ নম্বর পাওয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়। কিন্তু তিনি বলেন, ওসব কাগজপত্র দেখার দরকার নেই। ভর্তি করিয়ে নাও।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট)যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে রাজিবের বাবা পুলিশের সাব-ইনসপেক্টর (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, রাজিব ভর্তি পরীক্ষা ফেল করেছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে তিনি তার মেয়ের জামাই রোটনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়েছিল কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে রাজিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়ে ভর্তি হয়েছি।
বিজ্ঞাপন