Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

জুমার দিনে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় চারটি ভুল

জুমার দিনে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় চারটি ভুল

জুমার দিনে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় চারটি ভুল

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০২ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমা। এ দিনের মর্যাদা এতই বেশি যে পবিত্র কোরআনে বিশেষভাবে সুরা আল-জুমা অবতীর্ণ হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার গুরুত্ব নিয়ে অসংখ্য হাদিসে বর্ণনা করেছেন। মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেক সময় না জেনে কিংবা অবহেলায় কিছু ভুলত্রুটি হয়ে যায়। নিচে সেই চারটি সাধারণ ভুল ও করণীয় তুলে ধরা হলো—
এক. পরিচ্ছন্নতা অবহেলা করে মসজিদে যাওয়া

পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। বিশেষ করে জুমার দিন গোসল করা, মিসওয়াক করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা অত্যন্ত সুন্নত। হাদিসে এসেছে,
রাসুল (সা.) বলেছেন—
“জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। পাশাপাশি মিসওয়াক করা উচিত এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করা শ্রেয়।”
(বুখারি, হাদিস : ৮৮০)

তাই জুমার দিন গোসল করে, পরিচ্ছন্ন জামা পরে, সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যাওয়া উচিত।

দুই. আজানের পর কাজে ব্যস্ত থাকা

জুমার আজান হওয়ার পর দুনিয়াবি কাজে ব্যস্ত থাকা নাজায়েজ। তখন দ্রুত মসজিদের দিকে রওনা হওয়া ফরজ।
হাদিসে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন—
“লোকেরা তাদের কাজকর্মে ব্যস্ত থাকত, যখন জুমার জন্য যেত, তখনো তারা সেই অবস্থায় থাকত। তাই তাদের বলা হলো, গোসল করে যাওয়া তোমাদের জন্য উত্তম।”
(বুখারি, হাদিস: ৯০৩; মুসলিম, হাদিস: ৮৪৭)

তিন. খুতবা মনোযোগ দিয়ে না শোনা

খুতবা হলো জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা ইবাদতেরই অন্তর্ভুক্ত।
রাসুল (সা.) বলেছেন—
“যে ব্যক্তি অজু করে জুমায় এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।”
(মুসলিম, হাদিস : ১৮৭৩)

অতএব, খুতবা চলাকালে আলাপ বা অমনোযোগিতা থেকে বিরত থাকা জরুরি।

চার. খুতবার সময় কথা বলা

খুতবা চলাকালে সম্পূর্ণ নীরব থাকা আবশ্যক। এমনকি পাশের কাউকে ‘চুপ থাকো’ বলাও নিষিদ্ধ।
হাদিসে এসেছে—
“জুমার দিন ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, এমন সময় যদি তুমি পাশের মুসল্লিকে ‘চুপ থাকো’ বলো, তবে সেটিও অনর্থক কথা হবে।”
(বুখারি, হাদিস: ৯৩৪; মুসলিম, হাদিস: ৮৫১)

জুমা মুসলমানদের জন্য বরকত, রহমত ও মাগফিরাতের দিন। তাই এ দিনের মর্যাদা রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা, আজানের পর দ্রুত মসজিদে যাওয়া, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং নীরবতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এসব ছোট ছোট বিষয় মেনে চললে জুমার ইবাদত আরও পরিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/