রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩১ ১৫ আগস্ট ২০২৪
দিন যত গড়াচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ততই বাড়ছে। যার মধ্যে রয়েছে হত্যা মামলাও। গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।
বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতকে আহ্বান জানানো হবে কিনা এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, “শেখ হাসিনা অনেক মামলার মুখোমুখি। যদি স্বরাষ্ট্র এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমাদের তাকে বাংলাদেশে ফিরিতে দিতে বলতে হবে।”
“এটি ভারত সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। ভারত এ ব্যাপারে জানে এবং আমি নিশ্চিত তারা এ বিষয়টি দেখবে।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার আগে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে অন্তত দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আদালত— আন্তর্জাতিক বিচার ট্রাইবুনালের উপপরিচালক আতাউর রহমান জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় আরেকটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন এবং গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের তিনজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রয়টার্সকে আরও জানিয়েছেন, ভারত এবং শেখ হাসিনার কাছ থেকে যেভাবে বিবৃতি আসছে এতে প্রধান উপদেষ্টা বেশ নাখোশ হয়েছেন। আর এ বিষয়টি গতকাল ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন