রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:১১ ১০ আগস্ট ২০২৪
ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে নিহত হয়েছেন ৯০ থেকে ১০০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও বহু সংখ্যক। শনিবার সকালে এই হামলা চালানো হয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, স্কুলটি গাজার দারাজ শহরে অবস্থিত। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে স্কুলটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন, তারা সবাই শরণার্থী।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, “শনিবার ভোরের দিকে স্কুলটিকে লক্ষ্য করে পর পর ৩টি রকেট ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন, তাদের সবাই গত ১০ মাসের যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়ে এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ইতোমধ্যে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছে, ওই স্কুলটিকে নিজেদের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল হামাস। এ কারণেই সেখানে অভিযান চালিয়েছে বিমান বাহিনী।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। সেই হামলায় নিহত হন অন্তত ১ হাজার ২০০ জন মানুষ। সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
অতর্কিত এই হামালার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ হাজার ৭০০ এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় এক লাখ।
আইডিএফ অবশ্য এক সপ্তাহ আগেই জানিয়েছিল যে গাজায় দু’টি স্কুলের ওপর নজরদারি রাখছে তারা। কারণ তাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে এসব স্কুলকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।
বিজ্ঞাপন