Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

হঠাৎ কাবুল সফরে মামুনুল হক, রহস্য বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে

হঠাৎ কাবুল সফরে মামুনুল হক, রহস্য বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে

হঠাৎ কাবুল সফরে মামুনুল হক, রহস্য বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে গিয়েছেন। বুধবার সকালে আরও ছয় আলেমকে নিয়ে দেশটির রাজধানী কাবুলে পৌঁছান তিনি। দলটি জানিয়েছে, এই সফর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়; বরং ‘ইমারাতে ইসলামিয়া’ বা তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণেই তারা আফগানিস্তান গেছেন।

খেলাফত মজলিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সফরকারী দলটি আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।
বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে যে সমালোচনা রয়েছে—নারী অধিকার ও মানবাধিকার হরণ নিয়ে—তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করাই তাদের সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, “অনেক সময় ভুল ধারণা তৈরি হয়। কেউ প্রচার করে যে, আফগানিস্তানে নারীর অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, নারীরা ঘরে বন্দী থাকছে। বাস্তবে বিষয়টি কতটা সত্য, তা তারা সরেজমিনে যাচাই করবেন।”

মামুনুল হক ও তার প্রতিনিধি দল এমন সময়ে আফগানিস্তান সফরে গেলেন, যখন ঢাকায় তার ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস, আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিভাগীয় শহরগুলোতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের আফগানিস্তান সফরের নজির আগে ছিল না। এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের সফর খবরের শিরোনাম হলো।

দলীয় চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও খেলাফত মজলিস দাবি করছে, এটি মূলত “ওলামা সমাজের সফর”। মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, “সফরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও আছেন এমন অনেক আলেম, যাদের সঙ্গে দলের সরাসরি সম্পর্ক নেই।” তিনি জানান, এর আগে ২০০১ সালেও ওলামা সমাজের একটি দল আফগানিস্তান সফরে গিয়েছিল।
২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান সরকার নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে, প্রাইভেট টিউশন সেন্টারগুলোকে ছাত্রীদের না পড়ানোর নির্দেশ দেয়। এ কারণে পশ্চিমা বিশ্বে তীব্র সমালোচনা হয়। তবে তালেবান সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি অধিকাংশ দেশ। রাশিয়া ব্যতীত বিশ্বের কোনো দেশই পূর্ণ স্বীকৃতি দেয়নি তালেবান শাসনকে।

বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই আফগানিস্তানে, তবে ঢাকায় আফগানিস্তানের দূতাবাস এখনো কার্যকর। এর মধ্যেই মামুনুল হকসহ বাংলাদেশের কয়েকজন আলেমের এই সফর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন তুলছে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/