শুক্রবার , ০১ আগস্ট, ২০২৫ | ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:০০ ৩১ জুলাই ২০২৫
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কানাডা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। বুধবার (৩০ জুলাই) তার এই ঘোষণার পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন-কানাডা বাণিজ্যচুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং এর ফলে ভবিষ্যতে কানাডার সঙ্গে নতুন কোনো বাণিজ্য চুক্তি করা “খুব কঠিন” হয়ে পড়বে।
ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছেন, “বাহ!... এর ফলে তাদের (কানাডা) সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়বে।” বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই হুমকি কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং এটি উত্তর আমেরিকার দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করতে পারে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানান, আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেন, কানাডার পররাষ্ট্রনীতিতে এই বড় পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে অব্যাহত বসতি সম্প্রসারণ, গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মতো ঘটনা।
কার্নি আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি দুটি শর্তের ওপর নির্ভর করবে। প্রথমত, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, ওই অঞ্চলকে পুরোপুরি অস্ত্রমুক্ত করতে হবে। তিনি জানান, এই ঘোষণার আগে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ঘটনার পর বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এখন দেখার বিষয় হলো, কানাডা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে কি না। কারণ, বিষয়টি শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতেই নয়, বরং উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞাপন