হাত-পা বেঁধে ভারতীয় অভিবাসী ফেরত, চাপে মোদি সরকার!

হাত-পা বেঁধে ভারতীয় অভিবাসী ফেরত, চাপে মোদি সরকার!

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৮:০১ ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ১০৪ ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে মার্কিন সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠানো হয়, এবং এই শাস্তিস্বরূপ ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভারতে সরকারের সমালোচনার ঝড় উঠেছে, বিশেষত মোদি সরকারের নতজানু নীতি নিয়ে।

ভারতীয় অভিবাসী কুলবিন্দর কর, যিনি তার স্বামী হারবিন্দর সিং এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি, শেষ পর্যন্ত জানতে পারেন যে তার স্বামীও সেই ১০৪ জনের মধ্যে ছিলেন। হারবিন্দর, যিনি পাঞ্জাব থেকে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছেছিলেন, তাকে নারী ও শিশুদের সঙ্গে ফেরত পাঠানো হয় এবং ৪০ ঘণ্টা ধরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মার্কিন সামরিক বিমানে বসে ছিলেন। তারা বিমানটির গাদাগাদি মেঝেতে ৪০ ঘণ্টা ভ্রমণ করেছেন।

এভাবে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে অত্যন্ত বাজে আচরণ করা হয়, যা ভারতজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী, মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তারা প্রশ্ন তুলছেন কেন ভারতীয় সরকার ট্রাম্প প্রশাসনকে এই ধরনের অমানবিক আচরণ থামাতে চাপ প্রয়োগ করেনি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবং এবার ৪৮৭ জনকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। তবে এসব ফেরত আসা অভিবাসীদের প্রতি আরো মানবিক আচরণের দাবি ওঠেছে।

কংগ্রেস নেতা মনিকম ঠাকুর ও শশী থারুর এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন, একে ‘বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, যেখানে ভারতীয়দের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভারতের তরুণরা, যারা ‘ডাংকি’ পথে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য নিজেদের সর্বস্ব বিক্রি করে দেন, তারা এভাবে ফেরত আসতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর ও অসম্মানজনক।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিজ্ঞাপন