রবিবার , ০৯ মার্চ, ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ ২১ জানুয়ারী ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই দেশের দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন। তার এই সিদ্ধান্তে অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় শপথ গ্রহণ করেন ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠান শেষে ওভাল অফিসে ফিরে একাধিক নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হলো দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি।
ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত।” এর মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত সৈন্য ও জনবল মোতায়েন করা হবে।
এর পাশাপাশি, তার বহুল আলোচিত ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করা হবে। এই নীতির আওতায় আশ্রয়প্রার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ না করে মেক্সিকোতেই অপেক্ষা করার নিয়ম পুনরায় চালু হবে।
নতুন নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সংজ্ঞা সংশোধনের বিষয়েও নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের নাগরিকত্ব নীতির ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন, এবং এই সিদ্ধান্ত সেই লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।”
এদিন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এক মেয়াদ বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। শপথ অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং নতুন অবৈধ অভিবাসনের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন