রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ ১৮ নভেম্বর ২০২৪
উচ্চগতির এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো কঠিন।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানানো হয় ইউক্রেন এবার মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আক্রমণের অনুমতি পেয়েছে। । ইউক্রেনের হাতে এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শর্ত দেন, যুদ্ধক্ষেত্রে তা ব্যবহার করতে হবে। রাশিয়ার ভেতরে হামলায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। তবে সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতি দিয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ৩০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
জানুয়ারিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। তিনি আগে দাবি করেছিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন।
রাশিয়া জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র যদি কোনো ভাবে তাদের দেশের ভেতরে গিয়ে আঘাত করে, তাহলে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাবে।
ব্রাজিলে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে ওলাফ শলৎস সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ফোনে কথা হয়েছে । আরও বলেন ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা দেশের সমর্থন এবার কমে যাবে, এই ভুল ধারণা ভাঙানো দরকার । ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক বলেছেন, ‘দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন শলৎস। তারপরেই ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করল রাশিয়া। বোঝা যাচ্ছে, ইউক্রেনকে সমর্থনের বিকল্প টেলিফোন-কূটনীতি হতে পারে না।’ তার মতে, আগামী কয়েক সপ্তাহ শুধু যুদ্ধের ক্ষেত্রে নয়, ভবিষ্যতের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন