রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৩৭ ১১ নভেম্বর ২০২৪
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ইরাকে নারীদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ৯ বছর করার প্রস্তাব করা হয় জাতীয় সংসদে। জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাব পাস হলে বয়স্ক ব্যক্তিরাও বিয়ে করতে পারবেন ৯ বছর বয়েসি মেয়ে-শিশুকে ।
এই প্রস্তাবনা আইনে পরিণত হলে নারীরা সন্তান নিজের হেফাজতে রাখা ও স্বামীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা হারাবেন।
দেশটির বিরোধী দল এ প্রস্তাবনার বিরোধিতা করেছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘১৯৫৯ সনদ’ নামে পরিচিত ‘আইন ১৮৮’ সংশোধন করতে ইরাকের জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এই আইন অনুসারে নারীর বিয়ের বয়স ১৮। এই সনদ সংশোধনের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ধর্মীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী’ ও ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ থেকে নারীকে রক্ষার জন্য সংসদে এ সংশোধন প্রস্তাবনা আনা হয়েছে।
রাজতন্ত্র পতনের পর ‘১৯৫৯ সনদ’ বা ‘আইন ১৮৮’ প্রবর্তন করা হয়, যা জাতিসংঘের সনদের সঙ্গে মিল রেখে নারীর বিয়ের বয়স ১৮ নির্ধারণ করা হয় । এটি ছিল ‘পারিবারিক আইন’ থেকে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অধীনে পরিচালিত আইন।
ড. রেনাড মনসুর এ বিষয়ে চাথান হাউসের এক প্রকাশনায় বলেন, এর মাধ্যমে শুধু শিয়া মুসলিমরাই নয়, সবাই এর সুবিধা ভোগ করবেন।
এদিকে, ইরাকের বিরোধী দলীয় নেতারা সরকারি দলের এ উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সংসদে এই আইন পাস হলে নারীর অধিকার হারাবে।
অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, প্রস্তাবনা সংসদে পাস হলে অল্প বয়েসি মেয়েরা যৌন হয়রানি ও শারীরিক সহিংসতার শিকারে পরিণত হবেন।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ১৯৫০-এর দশক থেকেই নারীর বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই ইরাকে ২৮ শতাংশ নারী বাল্যবিয়ের শিকার। মূলত আইনের ফাঁক গলে ধর্মীয় নেতারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন