রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:২৪ ১৭ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার পরেও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে জার্মানি। উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ এবং লেবাননে চলমান হামলার পরেও জার্মানি ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
ওলাফ স্কলজ বলেন, এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েলকে সমর্থন করার মানে হলো আমরা ক্রমাগত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিশ্চিত করছি। তিনি একই সঙ্গে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রায় এক বছর ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলো। তারা ইসরায়েলকে সমর্থনের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। ফলে গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হতেই লেবাননের বিভিন্ন স্থানেও হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী।
এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা একটি ‘বর্জ্যভূমি’তে পরিণত হয়েছে যা এখন প্রায় ‘বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে উঠেছে।
বুধবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে লাজারিনি বলেন, গাজায় আবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সেখানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজ একটি সত্যিকারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে প্রবেশ করছি যেখানে দুর্ভাগ্যবশত আবারও দুর্ভিক্ষ বা তীব্র অপুষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আসন্ন শীত এবং গাজার সাধারণ মানুষের দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা সব মিলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ত্রাণ বিতরণের বিষয় উল্লেখ করে লাজারিনি বলেন, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহে গতকাল ছাড়া গাজার উত্তরে কোনো ত্রাণ প্রবেশ করেনি।
বিজ্ঞাপন