শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:১৭ ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অভিযানরত রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করা শুরু করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। গত এক সপ্তাহে ৮৪ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসর্ম্পণ করেছে। ত্মসমর্পণকারী এ সেনাদের সবাই ইউক্রেনের দোনেৎস্ক প্রদেশের উগলেদার শহরের বিভিন্ন সেনা ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কৌশলগত দিক থেকে উগলেদার বেশ গুরুত্বপূর্ণ শহর। শহরটিতে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা থাকায় উগলেদার ইউক্রেনের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহরগুলোর মধ্যে একটি এই উগলেদার। ২০২২ সালে রুশ বাহিনী যখন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে, তখন থেকেই শহরটির দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল রুশ সেনারা।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছিল, উগলেদারে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তারপর আজকের এই বিবৃতি দিলো দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৫ সালে সাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘণ, ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— এই চার প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা দখল করেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রস্তাব— কিয়েভ যদি ক্রিমিয়াসহ এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউক্রেনে সামরিক অভিয়ানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে কিয়েভের বক্তব্য, রাশিয়া যদি অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, শুধু তাহলেই শান্তি সংলাপে বসবে ইউক্রেন।
বিজ্ঞাপন