রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
প্রকাশিত: ০৭:২৮ ৩ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গত মঙ্গলবার ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। দেশটির দাবি, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ৮০ শতাংশ ইসরায়েলের আঘাত হেনেছে। এই অতর্কিত হামলার প্রতিশোধ নিতে কড়া হুঁশিয়ার বার্তা দিয়েছে ইসরায়েল। বিবিসি বলছে, এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্য একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে আছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় পুরো এই অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানকে এই হামলার কড়া মূল্য দিতে হবে। তবে কী ধরনের হামলা চালাবে ইসরায়েল সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলাকে সমর্থন করেন না।
তিনি বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় 'ইসরায়েল কী করতে চলেছে', যুক্তরাষ্ট্র সেই বিষয়ে 'ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনা করবে'।
গতকাল বুধবার হারিকেন ‘হেলেনের’ তাণ্ডবে নর্থ ক্যারোলাইনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জো বাইডেন। সেখানে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইসরায়েল যদি এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে তিনি সমর্থন দেবেন কী না?
বাইডেন বলেন, এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জি–৭ জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই একমত হয়েছেন যে ইসরায়েলের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। দেশটির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, ৫০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পাল্টে দেওয়ার।
ইরানের সন্ত্রাসী সরকারকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিতে তাদের পরমাণু অবকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া উচিত ইসরায়েলের, এমনটা মনে করছেন বেনেট।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন ভূমধ্যসাগরে আরও সেনা পাঠিয়ে ইরানকে ইঙ্গিত করছেন যে যদি ইসরায়েলের ওপর আঘাত আসে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত বলেই বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞাপন