শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৫ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চাহিদা বেশি থাকায় বিভিন্ন ফিচারসমৃদ্ধ ফোন বাজারে আনছে কোম্পানিগুলো। বিক্রি বজায় রাখতে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে কম দামে বেশি ফিচারের ফোন নিয়ে আসার। এই সুযোগে মার্কেট ধরে রাখার কৌশল হিসেবে কিছু ব্র্যান্ড একই ফিচার ও হার্ডওয়্যার বিশিষ্ট স্মার্টফোন বিক্রি করছে অন্য সিরিজ বা ব্র্যান্ডের নামে। যার ফলে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
তবে, এ কৌশল কতটা ঠিক, আর ভবিষ্যতে স্মার্টফোনের বাজারে এর কেমন প্রভাব পড়তে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।
স্মার্টফোন রি-ব্র্যান্ডিংয়ের কৌশলটি একেবারেই নতুন নয়। আর বাজারকে চলমান রাখার জন্য এই পদক্ষেপ অনেকের কাছেই যথাযথ বলে মনে হতে পারে। তবে, যখন একই ফিচার বিশিষ্ট কোনো বিশেষ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন অন্য কোনো ব্র্যান্ডের কাছে সস্তায় পাওয়া যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের মনে এই মডেলগুলো সম্পর্কে সন্দেহ জাগে। এছাড়াও, ক্রেতাদের মনে ব্র্যান্ডের মান, উদ্ভাবন, বিপণন এবং ব্র্যান্ডের আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কেও বিভিন্ন প্রশ্ন জন্ম নেয়।
কেন এ কৌশল করে সংস্থাগুলো
সংস্থাগুলো কেন এরকম করে এর সঠিক কোনো উত্তর না থাকলেও মনে করা হচ্ছে যে, যখন কোনো ব্র্যান্ড একের পর এক স্মার্টফোন লঞ্চ করে তখন সংস্থাটি খবরের শিরোনামে থাকে। এছাড়াও ব্যবহারকারীদের কাছে সেই কোম্পানির ওই নির্দিষ্ট লাইনআপ থেকে বেছে নেওয়ারও একাধিক অপশন থাকে।
তবে যে ব্র্যান্ডগুলো সিস্টার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত, সেগুলোর মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে থাকে। এরমধ্যে একটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন অফলাইনে বিক্রি করা হয়ে থাকে, আরেকটি অনলাইনে একচেটিয়াভাবে বিক্রি করা হয়। যার ফলে সংস্থাগুলো অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্রেতাদেরই নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও, অত্যধিক দামি স্মার্টফোনগুলো ব্যবহারকারীরা ফিজিক্যাল স্টোর থেকে কেনাই পছন্দ করে থাকে। তাই, মূল ব্র্যান্ডের ডিভাইসগুলো সাধারণত অফলাইন স্টোরে এবং সাব-ব্র্যান্ড ডিভাইসগুলো অনলাইন স্টোরে উপলব্ধ হয়। তবে আপাতদৃষ্টিতে স্মার্টফোন ক্লোনিংকে চতুর বিপণন কৌশল বলে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এটি ভোক্তা এবং বাজারের ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। যার ফলে ক্রেতাদের ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা কমে যায়।
তবে, ক্লোনিংয়ের ফলে স্মার্টফোনগুলোতে কেবল ছোটখাটো পরিবর্তন বাদে বাকি সবকিছুই যেহেতু একই রকমের থাকে, তাই স্মার্টফোন কেনার সময় তাদের কাছে একাধিক অপশনও থাকে। যার ফলে তারা ভেবেচিন্তে নিজের বাজেট অনুযায়ী একটি স্মার্টফোন কিনতে পারেন।
বিজ্ঞাপন