Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

পাবনায় সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক!

পাবনায় সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক!

পাবনায় সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১০:০৩ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীকে ভারতীয় নাগরিক বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এবং কাগজপত্রও জমা হয়েছে—তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জানালেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: অভিযুক্তের নাম সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী; তিনি বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। অভিযোগে বলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড রয়েছে—পরিচয়পত্রের তালিকাভুক্ত নম্বর ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ড নম্বর ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি, ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে বলেও উল্লেখ রয়েছে। তবু তিনি পাবনা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে সরকারি চাকরি করে আসছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে—সুখ রঞ্জন ভারতীয় নাগরিক হয়ে ভারতীয় জমি-জমা ও ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছেন; তাঁর স্ত্রীয় ও বড় ছেলে ভারতেই রয়েছেন। ছোট ছেলে বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পাওয়ার কারণে তিনি সন্তানকে নিয়ে মাঝে মাঝে পাবনাতে থাকেন। অভিযোগ আছে, মাঝে মাঝে ১৫ দিন থেকে ১ মাসের ছুটি নিয়ে তিনি ভারত যান। একই সঙ্গে অভিযোগে উপস্থিত করা হয়েছে যে তিনি শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি লিজ নেওয়া কিছু সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেবার চেষ্টা করছেন।

শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ — সুখ রঞ্জনের শ্যালক সুমন কুমার রায় জানান, তাদের পরিবারের সরকারি জমি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। “বাবা মারা গেলে মায়ের নামে লিজ ছিল। মা মারা যাওয়ার পর আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়—এমনকি পৌরসভাতেও। এখন তাদেরই (অভিযুক্ত) লোকজন আমার বাড়ি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে চায়,”—দাবি করেন সুমন কুমার রায়।

অভিযোগ পেয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
পাবনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ ও কাগজপত্র এসেছে। তিনি বলেন, “কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী অভিযোগগুলো মিথ্যা হিসেবে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “এসব অভিযোগ মিথ্যা, এইসব কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রী-সন্তানরা আমার ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি তাদের আনতে চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আসেনি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি সব ডকুমেন্টস দেখাতে পারব।”

বর্তমান পরিস্থিতি ও পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া
অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তদন্ত শুরু করেছে; তদন্ত শেষে প্রাপ্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষাশাখা/প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে জেলা অফিস। যেহেতু এটা নাগরিকত্ব ও সরকারি চাকরির যোগ্যতা সম্পর্কিত গুরুতর অভিযোগ, তাই তদন্তপূর্বক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে — তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কেউ দোষী বা নির্দোষ দাবি করা যায় না।

সম্প্রতি এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন