রবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৬ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলম। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টায় সিনেট ভবনে জাকসু ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। ভোট গণনা শেষ হয় শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১,৭৪৭ জন, যার মধ্যে প্রায় ৮,০০০ জন ভোটার ভোটপ্রদান করেন। জাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পান। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল অন্তর্ভুক্ত। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেন।
এই নির্বাচনে জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছিলেন ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশ ছাত্র। ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে কেবল দুইজন মেয়ে। এছাড়া চারটি পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই। সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪.৪ শতাংশ ছিলেন ছাত্রী। মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫টি পদে কোনো নারী প্রার্থী ছিল না।
নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। তবে ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে।
নির্বাচনের ফলাফলের ঘোষণায় অধ্যাপক রাশিদুল আলম নিশ্চিত করেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ ও গণনার মধ্যে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞাপন