রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:২১ ২২ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর শিমুলতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের নামে সরকারি অর্থ অপচয় করে ব্যক্তিগত স্বার্থে সুবিধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও ডিজিএম মাহবুবুর রহমান বিভিন্ন সময়ে নিজের মতো করে নিয়ম তৈরি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে সোলার প্যানেল ছাড়াই থ্রি ফেস বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে এ অনিয়ম করছে ডিজিএম সহ শিমুলতলা পল্লী বিদুৎ অফিসের একটি চক্র।
অন্যদিকে, ওই অফিসের আওতাধিন এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণার জন্য বিদ্যুতের খুঁটি তারে আশেপাশের গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হলেও তার অফিসের ৩০গজ সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে লতাপাতা উঠে নষ্ট হলেও সেদিকে খেয়াল নেই অফিস সংশ্লিষ্টদের ।
একটি সুত্র জানিয়েছেন, লতাপাতা জরাজীর্ণ ওই খুটিটি একটি প্লটের উপর রয়েছে। সেই সাথে খুঁটির থ্রি ফেস লাইনের জন্য কয়েকটি প্লট মালিকের সমস্যা হচ্ছে। প্লট মালিকরা কয়েক দফায় ওই লাইনটি সরানোর চেষ্টা করেছে। তার জন্য ওই খুঁটিতে ইচ্ছেকৃত ভাবে আগছা উঠতে দেওয়া হয়েছে। যাতে খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে রক্ষণাবেক্ষণার ওজুহাতে লাইনটি ওই প্লট মালিকদের ইচ্ছে মতো সরানো যায়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য বিদায়ী একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিজিএম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়ম তৈরি করেন। সে সব সময়ে অনিয়ম করেন। তার বিরুদ্ধে অফিসের কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। সে সিঙ্গেল ফেস মিটার দিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসব অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি দায়সারা উত্তর দেন এবং বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি। সেই সাথে তাকে প্রমান দেখিয়ে নিউজ করতে হবে বলেও জানান।
এই ঘটনাগুলো তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তারা জানান, দ্রুত তার দুর্নীতির লাগাম টানতে না পারলে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
বিজ্ঞাপন