শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১২ ৭ নভেম্বর ২০২৪
চলতি বছরের বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে টাঙ্গাইল জেলার সবজী চাষীরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১২টি উপজেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শীতকালীন সবজী আবাদে।
এসব সবজী বাজরে উঠার পরই কমে যাবে সবজীর দাম। একই সাথে বাজারে সবজীর সংকটও কেটে যাবে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে শীতকালীন সবজী আবাদ করে বেশী লাভবান হওয়া যায়। একারণে এ অঞ্চলে প্রতিবছরই বাড়ছে শীতকালীন সবজীর জমির পরিমান। সব ধরনের সবজী উৎপাদনের উর্বর জমি রয়েছে টাঙ্গাইল জেলায়। প্রতিবছরই এ জেলার পাহাড়িঞ্চল, চরাঞ্চল ও সমতল ভুমিতে প্রচুর পরিমানে শীতকালীন সবজীর উৎপাদন হয়ে থাকে। চলতি বছর বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে সবজী আবাদে বিঘ্ন ঘটে। নষ্ট হয়ে যায় বীজ ও চারা। এর বিরুপ প্রভাব পরে বাজারগুলোতে।
বাজরে বিভিন্ন প্রকারের সবজীর দাম বেড়ে যায়। বর্ষা মৌসুম কেটে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন শীতকালীন সবজী চাষ। চাষকৃত সবজীর মধ্যে রয়েছে ফুল কপি, পাতা কপি, মুলা, টমেটো, শিম, লাউ, পালং শাক, লাল শাকসহ হরেক রকমের সবজী। সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, কৃষকদের মধ্যে কেউ জমি তৈরী করছেন, কেউ জমিতে বীজ বা চারা রোপণ করছেন। কেউ আবার জমিতে গজিয়ে ওঠা সবজীর গাছের পরিচর্যা করছেন। সব মিলিয়ে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা বলছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজী বাজারে চলে যাবে। শীতকালীন সবজী বিক্রী করে অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন।
টাঙ্গাইল জেলায় সবধরনের সবজী চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতিবছর জেলায় বিপুল পরিমাণ সবজীর চাষ হয়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজী রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় বিক্রীর জন্য। সবধরনের সবজীর দাম ভাল পাওয়ায় এবছর কৃষকরা বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে শীতকালীন সবজী আবাদে। জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এবছর জেলার ১১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকলীন সবজীর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে সবজীর ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও টাঙ্গাইলে সবজীর বাম্পার ফলন হবে। এরফলে বাজারে সবজীর সংকট কেটে যাবে, একই সাথে দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
বিজ্ঞাপন