রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ ৮ অক্টোবর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের আলোচিত নাম ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। ছিলেন গৃহবধূ, সংগীত শিল্পী ও স্কুল শিক্ষিকা। পরবর্তীতে হন রাজনৈতিক নেত্রী। সেখান থেকে সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়েও ভোটে পরাজিত হন। এরপর পেয়ে যান সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ। পদ পেয়ে বনে যান প্রভাবশালী নেত্রী। এই পদটি যেন আলাদীনের চেরাগের মতো ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয় তার। এখান থেকেই তার উত্থান শুরু।
হয়ে যান অঢেল সম্পদের মালিক। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে দলীয় পদ-পদবির পাশাপাশি বাড়তে থাকে তার সম্পদের পরিধিও কথিত আছে, টাকার জোরেই ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেন তিনি।
এমপি হয়েই জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। নিজে সংসদ সদস্য হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে ১৬ কোটি টাকা খরচ করে স্বামী শামীম তালুকদারকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বানিয়ে আনেন। হলমার্ক কেলেঙ্কারি, ঋণপ্রদান ও মওকুফ, চাকরি বাণিজ্য, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, বদলিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে কোটিপতি বনে যান স্থানীয় সবুজ কানন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হেনরী।
শুধু নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ নয়, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও ঢাকায় তার অঢেল সম্পদ। দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৬ বছরে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পদের মালিক হেনরী। অথচ ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে ৬ লাখ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন তিনি। সরকারি হিসেবেই তার সম্পদ বেড়েছে ৮৮৪গুণ, বেসরকারি হিসেবে যা ২১শ’ গুণেরও বেশি।
বিজ্ঞাপন