রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৪১ ৬ অক্টোবর ২০২৪
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়েছে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই।
পাশাপাশি কৃষি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলার কমপক্ষে ৩০ হাজার হেক্টর আমন এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ নষ্ট হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাবে ১১ কোটি টাকার বেশি।
পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মিরগী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নকিবুজ্জামান খান মোর নিউজকে বলেন, নালিতাবাড়ীতে গত রাতেও ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত হয়েছিলো ২৬০ মিলিমিটার ।এতে জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা।পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান মোর নিউজকে বলেন, জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন