রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৯ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি’র মালামাল ক্রয়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে সংঘর্ষের এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা করেছে। একটি মামলায় হুকুমের আসামী করা হয়েছে থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলনকে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলনের নামে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, সোমবার সকাল ১০টা থেকে থানাহাট ইউনিয়নের থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি’র কিছু কার্ডধারীর মাঝে মালামাল বিতরণ শুরু হলে ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম পরিষদের সামনে চটি বিছিয়ে চাউল ক্রয় শুরু করেন।
এ সময় আশরাফুল আলম বকুলের সাথে চাউল ক্রয়কে কেন্দ্র মমিনুলের সাথে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে আশরাফুল আলম বকুল তার সঙ্গীয় লোকজনকে নিয়ে থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ী হাট মালেক মোড় সংলগ্ন মমিনুলের বাড়ীতে হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম আহত হন। আহতদের মধ্যে ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে গেলেও আশরাফুল ইসলাম চিলমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আশরাফুল আলম বকুল বলেন, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি’র কিছু সুবিধাভোগীর কার্ড নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাদের মালামাল বিতরণ করা হয়নি। সোমবার সেইসব কার্ডধারীর মালামাল বিতরণ শুরু হয়। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে অভিযোগ ওঠা কার্ডের মালামাল বিতরণ দেখতে গেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম তার লোকজনকে নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়।
ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল আলম বকুল একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় সোমবার দুপুরে তার সাথে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বকুল তার সঙ্গীয় লোকজনকে নিয়ে বিকেলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ীতে হামলা চালায় ও টাকা লুট করে।
এ ঘটনা ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম সোমবার দিবাগত রাতেই চিলমারী মডেল থানায় আশরাফুল আলম বকুলসহ ৫ জনের নামে বাড়ীতে হামলা ও অর্থ লুটের মামলা দায়ের করে।
এদিকে ওইদিন রাতেই আশরাফুল আলম বকুল থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলনকে হুকুমের আসামী করে আরও ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, সোমবার আমি ব্যক্তিগত কাজে নীলফামারীতে ছিলাম। সংঘর্ষের বিষয়ে এখনো ভালো ভাবে জানি না। আমাকে হুকুমের আসামী করে মামলা করা বলে জেনেছি। এ ঘটনায় আমাকে পরিকল্পিত ভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন