রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৬ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মিনহাজুল ইসলাম একই গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার বিকেলে খেলতে যাওয়ার কথা বলে মিনহাজ বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর সে আর বাড়িতে ফেরে না। এলাকায় ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে সোমবার রাজবাড়ী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে। আজ সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মিনহাজের মরদেহ পাওয়া যায়।
মিনহাজের মা খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে রবিবার দুপুরে স্থানীয় মোক্তার সরদারের মালটা বাগানে গিয়ে কয়েকটা মালটা আনে। এরপর তার সাথে থাকা প্রতিবেশি মিনহাজের সমবয়সী সুমন শেখের কাছে কয়টা মালটা ও মিনহাজের জুতা দিয়ে বলে তুই জুতা আমার বাড়ি তে দিয়ে আয়। তারপর থেকে মিনহাজকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। মোক্তারের বাগান ঘেরাও করা। তালা মারা থাকে। আমরা গতকাল সোমবার কয়েকবার মোক্তারের বাড়িতে গিয়েছিলাম বাগানের চাবি আনার জন্য। কিন্তু তার কেউ চাবি দেয়নি। আমরা সোমবার বিকেলে তার মালটা বাগানে দেখেছি। কিন্ত সেখান কোন লাশ ছিলনা আজ সেই বাগানের পাশে ধান ক্ষেতে আমার ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোক্তার সরদার টাকা পয়সাওয়ালা মানুষ। ওরা বাজেভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে। আমার ছেলের জি¦হবা কেটে ফেলেছে। কারেন্টের আগুন দিয়ে কয়েক জায়গায় পুড়িয়ে ফেলেছে। আমি এই হত্যা কান্ডের বিচার চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে উচ্ছুক জনতা ভীর জমিয়েছে। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। স্থানীয়রা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে। মিনহাজের মা তার বাড়িতে আহাজারি করছে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত মোক্তার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার বাড়ির ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা এটি একটি হত্যাকান্ড। আমরা একজনকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জরিত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞাপন