রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১০ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী ভদ্রা কালীমাতা মন্দিরের ৩টি মূর্তি ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষের।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমসহ পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, সোমবার রাতে আসন্ন দূর্গা পুজা উপলক্ষে হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী ভদ্রা কালীমাতা মন্দিরের সামনে প্যান্ডেল বানানোর কাজ করছিলেন মন্দির কমিটির লোকজন। রাত ১১টার দিকে মন্দিরের গেটে তালা দিয়ে বাড়িতে যান সবাই। মঙ্গলবার সকালে বন্দনা রানী নামের একজন নারী মন্দির পূজা দিতে গেলে মন্দিরের ভেতরের মহাদেবসহ তিনটি মূর্তি ভাঙচুর করা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও রেদুয়ানুল হালিম, চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্যসহ অন্যরা।
সবার ধারণা মন্দিরের গ্রীলের তালা ভাঙতে না পেরে লোহার রড বা বাটাম দিয়ে মূর্তিগুলো ভাঙা হয়েছে।
হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী ভদ্রা কালীমাতা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুটিশ্বর দেব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়েও এই মন্দিরসহ আমাদের এলাকায় পূজার্চনা চলেছে। আমাদের এলাকায় কখনোই মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার না পেলে দূর্গা পুজা করা থেকে বিরত থাকবো।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে এবং সাধারণ হিন্দুরের মনোবল ভাঙতে দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। নইলে আগামীতে দূর্গা পুজা করা থেকে বিরত থাকার চিন্তা ভাবনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করার কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন