রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৭ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এদিকে অভিভাবকরা মানববন্ধন করতে গেলে স্কুলের অধ্যক্ষের স্বামী তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়ার অভিযোগও করেছে তারা। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জেলা সদর রোডে অবস্থিত প্রি ক্যাডেট স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের নানা বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ছাত্রীরা হিজাব পড়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে গেটে বাঁধা দেয়া হয়। তাছাড়া স্কুলের কতিপয় শিক্ষক প্রতিনিয়ত ছাত্রীদের হিজাব পড়তে নিষেধ করে আসছে। সম্প্রতি হিজাব পড়াকে কেন্দ্র করে এক অভিভাবকের সাথে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয়টি জানাজানির পর অভিভাবকদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে তারা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করতে গেলে অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের স্বামী হারুন অর রশীদ তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। এ সময় তারা ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এরপর অভিভাবকরা অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে প্রায়ই অধ্যক্ষের কাছে লাঞ্চিত হয়েছেন তাদের। স্কুলের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জন্যে কোন টিফিন টাইম নেই। শিক্ষার্থীরা অনেকটা পালিয়ে পালিয়ে টিফিন করে থাকে। এছাড়া কোচিং বানিজ্য, সকল বই খাতা-কলমসহ শিক্ষা সরঞ্জাম স্কুল থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম। স্কুলে শিক্ষার্থীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন