রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:১৭ ২৪ অক্টোবর ২০২৪
সন্ত্রাসী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আনন্দ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাজার ঘুরে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে খবর এল, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হল', 'ধরো দড়ি মারো টান, চুপ্পু হবে খান খান', সন্ত্রাসীদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না', এমন স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগ বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার উপর কেমন নির্যাতন চালিয়েছে, মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, ছাত্রদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছে, প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে, সর্বশেষ চব্বিশের আন্দোলনে ছাত্রদেরকে হত্যা করেছে। তার বিচার এই বাংলার জমিন থেকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের মাধ্যমে হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী যেই খাদ স্বৈরাচাররা তৈরি করেছে সেই খাদেই স্বৈরাচাররা পতিত হয়েছে। এসময় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার তান্ডব, ২০১৩ সালের ৫মে হেফাজতের উপর নির্যাতন, আবরার ফাহাদের হত্যার সাথে ছাত্রলীগের জড়িতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'ছাত্রলীগকে আইনের মাধ্যমে আজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা আমাদের ৫দফা দাবির একটি পূরণ হয়েছে। এছাড়া মুজিববাদী সংবিধান অর্থ্যাৎ '৭২ এর সংবিধান বাতিল করে দিয়ে, নতুনকরে সংবিধান লিখতে হবে। ফ্যাসিবাদী সংবিধানের রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে।অভ্যুত্থানের স্পিরিট ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মানে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে proclamation of Republic জারি করতে হবে। সেটির ভিত্তিতে এবং সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এসকল দাবি অনতিবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। এর বিপরীতে কেউ যদি আমাদের দাবি নস্যাৎ করার চেষ্টা করে আমরা রাজপথে থেকে তাদের প্রতিহত করবো।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা ’হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন‘ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসী সত্তা‘ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন